অনেককে দেখা যায় ইফতারের সময় হয়ে যাওয়ার পরেও অপেক্ষা করেন মসজিদের আজান শোনার জন্য। অনেকে আবার পাশের এলাকার মসজিদের আজান শুনলেও ইফতার করেন না। অপেক্ষা করেন বাসার সাথে থাকা মসজিদের মাগরিবের আজানের। এটা একটি অহেতুক কাজ।
যদি আমরা সূর্যাস্তের সময় নিশ্চিতভাবে জানতে পারি, আর সাথে ঘড়ি থাকে, তাহলে আমাদের উচিত সময় হওয়ার সাথে সাথে ইফতার করা। আমরা আজান শোনার পর ইফতার শুরু করি। কিন্তু মুয়াজ্জিন সাহেব যে আজান দেন তিনি কখন ইফতার করেন? সাধারণত মুয়াজ্জিন সাহেব ঘড়িতে সময় হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সামান্য একটু ইফতার করে আজান শুরু করেন। অর্থাৎ আজানের পূর্বেই মুয়াজ্জিন সাহেব ইফতার করে নেন।
তাই আমাদের উচিত ইফতারকে সূর্যাস্তের সাথে সম্পৃক্ত করা। আজানের সাথে নয়। মাগরিবের আজান সূর্যাস্তের সাথে সাথে দেয়া হতে পারে। কোনো কারণে কয়েক মিনিট পরেও দেয়া হতে পারে। যেমনঃ রামাদান ছাড়া অন্যান্য সময়ে মাগরিবের আজান সূর্যাস্তের প্রায় ৫-৬ মিনিট পর দেয়া হয়। যারা নফল সিয়াম পালন করেন তারা এ বিষয়টা খেয়াল করে থাকবেন হয়ত। তখনো আপনারা অ্যাপে দেখানো সময় অনুযায়ী সূর্যাস্তের সাথে সাথে ইফতার করে নিতে পারেন। মসজিদের আজানের জন্য অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। হাদীস শরীফে দ্রুত ইফতার করার তাগিদ দেয়া হয়েছে। তাই সূর্যাস্তের বিষয় নিশ্চিত হওয়ার পর ইফতারের জন্য আর অতিরিক্ত দেরি না করাই সমীচীন।
তবে রামাদানের সময়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে যে সময় ঘোষণা করা হয় সেই সময়েই মসজিদে আজান হয়ে থাকে। তাই আজান শুনেও ইফতার করা যাবে। আমাদের এ লেখার উদ্দেশ্য হচ্ছে ইউজারদের কনসেপ্টটা ক্লিয়ার করা। যেন কোনো কারণে মসজিদের আজান শোনা না গেলে বা মসজিদের আজান দেরিতে হলেও ইফতার করতে বিলম্ব না হয়।